যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের স্বারকলিপি

রেলের সম্পদ অবৈধ দখলের নামে হরিলুট বন্ধ করুন

Jahangir Alam babu    |    ০৮:০৯ পিএম, ২০২০-০৯-২০


রেলের সম্পদ অবৈধ দখলের নামে হরিলুট বন্ধ করুন

রেলের সম্পদ অবৈধ দখলের নামে হরিলুট বন্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন যাত্রী সাধারনের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ (নিবন্ধন নং ঢ ০৯৮০৩)। আজ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর সকালে মহানগরীর পাহাড়তলী বিভাগীয় ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তার দপ্তরে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামসুদ্দিন চৌধুরী।

স্মারক লিপিতে বলা হয়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালি, চাঁদপুর ,কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া গঙ্গাসাগর এলাকায় রেলওয়ে স্টেশন এবং রেল লাইন সহ অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের ৪৩৯৬ একর জায়গায় ও কোন ধরনের লিজ না দেওয়া ১৬৯.৮২ একর জায়গায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলকে ঘিরে মাফিয়া চক্ররা এইসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হরিলুট চালাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় রেল লাইনের ওপর বাজার বসানো হয়েছে। এইসব কাজে জড়িত রেলের কিছু স্টেশন মাস্টার, ভূ সম্পত্তি বিভাগের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী । বিভিন্ন সময়ে দেশের গণমাধ্যমে বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি বলে দাবি করে সংগঠনটি।

সংগঠনটি আরো বলছে, রেল লাইনের পাশে গড়ে উঠা এইসব স্থাপনা গুলো থেকে বিভিন্ন সময় রেল যাত্রীদের উপর পাথর নিক্ষেপ, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটছে। রেল লাইনের পাশে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা থাকায় অপরাধীরা রেল থেকে নেমে সহজে এইসব স্থাপনায় আত্মগোপন করত পারে। শুধু সাধারণ যাত্রী নয় ২০১৭ সালে এইসব অবৈধ স্থাপনা থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করায় ডিউটিরত অবস্থায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার এস আই সালাউদ্দিন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তারপরেও এইসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিরব অবস্থান।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, দেশের বর্তমান সরকার রেলপথে যাত্রী সাধারণ কে নিরাপদ নির্বিঘ্ন সেবা প্রদান করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিছু ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে সরকারের সব অর্জন ম্লান হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একটি টিম নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইনের প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গেলে আমরা দেখতে পাই নগরীর ষোলশহর, জান আলী হাট, পটিয়া দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন, রেল লাইন সহ অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জায়গা গুলো এখনও অবৈধ দখলদারদের হাতে। এই সব স্টেশনের মাস্টারদের ছত্রছায়ায় রেল লাইনের ওপর বাজার, রেল লাইনের পাশ ঘেঁষে অবৈধ বস্তি, দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এই সব অবৈধ স্থাপনা থেকে মাসে লাখ লাখ টাকাও চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম চললেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে উদাসীন।

স্মারকলিপিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রেলপথ মন্ত্রী ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।